মাইলস্টোন স্কুলে রাতের আঁধারে লাশ ‘সরানোর’ চেষ্টা,।

মাইলস্টোন স্কুলে রাতের আঁধারে লাশ ‘সরানোর’ চেষ্টা,।


 মাইলস্টোন স্কুলে রাতের আঁধারে লাশ ‘সরানোর’ চেষ্টা, এলাকাবাসীর প্রতিরোধে উত্তেজনা

উপ-শিরোনাম: কর্তৃপক্ষীয় নীরবতায় বাড়ছে রহস্য, প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ স্বজনদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২২ জুলাই, ২০২৫ (ভোর)

উত্তরা দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তে নিহত শিক্ষার্থীদের লাশ রাতের আঁধারে সরিয়ে ফেলার চেষ্টার অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। সোমবার গভীর রাতে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স স্কুল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে গেলে বিক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে। পরিচয়হীন ব্যক্তিদের এই রহস্যজনক তৎপরতায় পুরো ঘটনা ভিন্ন দিকে মোড় নেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে কোনো ধরনের সরকারি বা পুলিশি এস্কর্ট ছাড়াই কয়েকটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স স্কুলের মূল ফটকের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসে। অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা জোর করে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে সেখানে উপস্থিত নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা তাদের পথ আটকে দেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আকবর হোসেন নামের এক অভিভাবক ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, "দিনের বেলায় সারা দেশ জানলো আমার সন্তানসহ ২০ জন মারা গেছে। এখন রাতের আঁধারে লুকিয়ে লাশ সরাতে এসেছে কেন? ভেতরে কি আরও লাশ আছে যা ওরা লুকাতে চায়? আমরা আমাদের সন্তানদের লাশের এক চুলও সরাতে দেবো না। ওরা প্রমাণ লোপাট করতে এসেছিল।"

এই ঘটনায় শত শত মানুষ স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা "লাশ চোরদের বিচার চাই", "প্রমাণ লোপাট করতে দেবো না" ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের একটি ছোট দল ঘটনাস্থলে আসলেও তারা বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করতে ব্যর্থ হয়। এলাকাবাসী ও স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্সগুলো ঘিরে রাখে এবং চালকদের কাছে তাদের পরিচয় ও কার নির্দেশে এসেছে তা জানতে চায়। কিন্তু তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।

এ বিষয়ে জানতে উত্তরা পশ্চিম সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। স্কুল কর্তৃপক্ষেরও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এই রহস্যজনক নীরবতা এলাকাবাসীর সন্দেহ ও ক্ষোভকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছে।

উল্লেখ্য, সোমবার সকালে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মাইলস্টোন স্কুলের ওপর পড়লে ২০ জন শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এবং শতাধিক আহত হয়। দিনের আলোর এই ভয়াবহ ট্র্যাজেডির পর রাতের আঁধারে লাশ সরানোর চেষ্টার অভিযোগ পুরো ঘটনাকে আরও জটিল ও রহস্যময় করে তুলেছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উন্মোচনের দাবি জানিয়েছেন নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ